মঠবাড়িয়ায় ছেলে কর্তৃক মা নির্যাতনের ঘটনায় কোর্টে মামলা

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মা নির্যাতনের ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি উপজেলার টিকিকাটা ইউনিয়নে উত্তর কুমিরমারা গ্রামে ঘটেছে। এ ঘটনায় বৃদ্ধ মা সেতারা বেগম বাদী হয়ে বড় ছেলে এমাদুল হক ফকির ও পুত্রবধু রাশেদার বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। বৃদ্ধ মা সেতারা বেগম উত্তর কুমিরমারা গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেন ফকিরের স্ত্রী।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সেতারা বেগমের স্বামী দীর্ঘ ২৫ বছর আগে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে দেলোয়ার হোসেন ফকির কোন সম্পত্তি রেখে যেতে পারে নাই তাই সেতারা বেগম বাবার বাড়ী হইতে ফরায়েজ সূত্রে জমিতে বসবাস করে আসছিলেন। বড় ছেলে এমাদুল হক ফকির মাকে ভুল বুঝাইয়া রীতিমতো ভরণপোষণ প্রদান করিবে এবং দেখাশুনা করবে মর্মে ছয় শতাংশ জমি হেবাবেলওয়াজ দলিল করিয়া তার নামে লিখিয়ে নেয়। উক্ত সম্পত্তিতে এমাদুল হক ফকির নিজে বসবাস করে আসছে কিন্তু মা সেতারা বেগমের কাছ থেকে জমি লিখে নেওয়ার পরে সঠিকভাবে ভরণপোষণ না দিয়ে বাড়ি থেকে মাকে তাড়াইয়া দেওয়ার পরিকল্পনা করে। এমনকি পুত্রবধূ রাশেদা তাকে মারপিট করতে উদ্যত হয়। পরে সেতারা বেগম বাকি সম্পত্তিটুকু নিয়ে ছোট ছেলে রিপন ফকিরের সাথে বসবাস করে আসছে। এতে রিপন ফকিরের সাথে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বড় ভাই এমাদুল হক ফকির ও স্ত্রী রাশেদা রীতিমতো ঝগড়াঝাটি করে আসছিল। গত ১৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে জমি দাবি করে মা সেতারা বেগমের বসতঘরের পাশে বড় ছেলে এমাদুল হক ফকির বেরা দিতে গেলে মা ছেতারা বেগম বাধা দিলে সেতারা বেগমকে ছেলে ও পুত্রবধু মারধর করে এমনকি সেতারা বেগমের বসতঘরে থাকা স্বর্ন যাহার মূল্য ষাট হাজার ও নগদ দেড় হাজার টাকা নিয়ে যায়। পরে সেতারা বেগম বাদী হয়ে ২১ ডিসেম্বর (মামলা নং-৬২৭/২১) মঠবাড়িয়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলাটি মঠবাড়িয়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সমন দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃদ্ধ সেতারা বেগমের স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই বড় ছেলে এমাদুল হক ফকির ও পুত্রবধু রাশেদার নির্যাতনের স্বীকার সেতারা বেগম। উক্ত ঘটনা নিয়ে এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিরা একাধিক বার শালিসে বসলেও এমাদুল হক ফকির শালিস মানে না এবং কাউকে পরোয়া করে না মর্মে অভিযোগ পাওয়া যায়।
এমন অভিযোগের পেক্ষিতে এমাদুল হক ফকির ও পুত্রবধু রাশেদার স্বাক্ষাৎকার আনতে গেলেও তারা কোন স্বাক্ষাৎকার দিবে না বলে জানান।
আরও পড়ুন





