মঠবাড়িয়ার যুবতীর প্রতারনার ফাঁদে পড়ে চাটখিলের যুবক নিঃস্ব

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি ;
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার এক যুবতীর ফাঁদে পড়ে নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার মাসুদ নামের এক যুবক নিঃস্ব হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। নির্যাতিত মাসুদ চাটখিল উপজেলার শাহাপুর ইউনিয়নের শাহাপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হাইয়ের ছেলে। অভিযুক্ত যুবতী পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার টিকিকাটা ইউনিয়নের সূর্যমনি গ্রামের বাসিন্দা মৃত আলী হোসেন হাওলাদারের মেয়ে নুরনাহার আক্তার নিশি। ঘটনাসূত্রে জানা যায়, মাসুদ দীর্ঘদিন যাবত চট্টগ্রাম শহরে সিএনজি, অটোরিকশা সহ বিভিন্ন গাড়ির ব্যবসা করে আসতেছিলো। একপর্যায়ে তিনি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হঠাৎ একটি মামলার আসামি হয় এবং এই সময়ে তিনি এলাকা ছেড়ে বিভিন্ন হোটেলে দিন যাপন করতো। সেই সময়ে চট্টগ্রামের একটি আবাসিক হোটেলে মঠবাড়িয়ার নুরনাহার আক্তার নিশির সাথে পরিচয় হয়। নুরনাহার আক্তার নিশির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর থেকেই মাসুদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে নুরনাহার আক্তার নিশি বাবার বাড়ির বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। দীর্ঘদিন যাবত প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২০ সালের জুলাই মাসের ৪ তারিখ ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক দুজনের বিয়ে হয়। পরে তারা একসাথে চট্টগ্রামে সংসারিক জীবন পরিচালনা করে। এদিকে নুরনাহার আক্তার নিশির বোন বিউটি বেগম বিয়ের বিষয়টি জানার পরে তিনি মেনে নিতে না পেরে মাসুদের উপরে নির্যাতন শুরু করে এবং নুরনাহার আক্তার নিশিকে ভুল ধারনা দিয়ে দুই বোন মাসুদকে দফায় দফায় নির্যাতন করেন। এরপর থেকেই শুরু হয় মাসুদের কষ্টের জীবন। নুরনাহার আক্তার নিশি বিবাহের পর থেকে স্বামী মাসুদকে না জানিয়ে গোপনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা শুরু করে এবং বিভিন্ন ছেলেদের সাথে কথা বলে, প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। এনিয়ে স্বামী ও স্ত্রীর মাঝে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকতো। পরে বোন বিউটি বেগমের পরামর্শ অনুযায়ী স্বামী মাসুদকে কিছু না বলে বাবার বাড়ি মঠবাড়িয়াতে চলে আসে। একদিন পরে স্বামী মাসুদ জানতে পেরে তাকে নিতে আসলে তার সাথে সংসার করবে না বলে জানায় এবং বোন বিউটি বেগম সহ স্বজনরা তার উপরে হামলা চালায়। মাসুদ কোন উপায়ন্ত না পেয়ে নুরনাহার আক্তার নিশি ও বোন বিউটি বেগম সহ তিনজনকে বিবাদী করে মঠবাড়িয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের পরে বিষয়টি মিমাংসা হয় এবং পুনরায় স্বামী মাসুদের সাথে নুরনাহার আক্তার নিশি চট্টগ্রাম চলে যায় এবং কিছু দিন সংসার করেন। এদিকে মাসুদ তার ব্যবসায়ীক কাজে ঢাকায় গেলে ২০২১ সালের অক্টোবর মাসের ২৬ তারিখ স্বামীকে কিছু না বলে বাসার মালামাল, স্বর্নালংকার ও নগদ একলক্ষ টাকা নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসে। এবিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর থানায় মাসুদ একটি সাধারন ডায়েরি করেন। পরে সেই সময় নুরনাহার আক্তার নিশিকে বাবার বাড়িতে তাকে নিতে আসলে তারা মাসুদের উপরে হামলা চালায়। এবিষয়ে মঠবাড়িয়া উপজেলার বিভিন্ন গন্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি মিমাংসা করানোর চেষ্টা করে। স্বামী মাসুদ শালিস বৈঠক মানলেও স্ত্রী নুরনাহার আক্তার নিশি মানে না। মাসুদের সাথে নুরনাহার আক্তার নিশির সাথে মাঝে মধ্যে মোবাইল ফোনে কথা হতো তারই সূত্র ধরে স্ত্রী জানায় মাসুদের সাথে আবার পুনরায় সংসার করবে এবং তাকে নিতে আসতে বলে। সেই অনুযায়ী ২৭ এপ্রিল বুধবার সন্ধ্যায় নুরনাহার আক্তার নিশির বাবার বাড়িতে আসলে তার উপরে হামলা চালায় এতে তিনি আহত হয়। পরে তাকে আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
এবিষয়ে মাসুদের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, নুরনাহার আক্তার নিশির সাথে আমার সম্পর্ক হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন অযুহাতে বিভিন্ন সময়ে প্রায় বিশ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। এখন আমি সর্বহারা হয়ে জীবন যাপন করছি।
এবিষয়ে নুরনাহার আক্তার নিশির কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকের উপরে চড়াও হয়ে বলেন, আমি মাসুদকে প্রায় একবছর আগে ডিভোর্স দিয়েছি, তিনি আমার স্বামী নয়।
আরও পড়ুন





